May 18, 2024, 4:50 am

90991466 img 3463

বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী করোনা টিকার নিবন্ধন করতে পারছে না

Spread the love

বিএসএন নিউজঃ বাংলাদেশে পাবলিক এবং প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অনেক শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কারণে করোনাভাইরাস টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না।তাছাড়া টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও অনেকে টিকা পাচ্ছেন না।
যদিও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকার জন্য নিবন্ধন করবে, তারা চাইলে ২৭ সেপ্টেম্বরের পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবে।টিকার জন্য অপেক্ষা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া আফরোজ অনেকদিন আগে রেজিস্ট্রেশন করলেও এখনো টিকা নিতে পারেননি।তিনি জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগে অনেক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশনই করতে পারছেন না আর যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা কবে টিকা পাবেন সেটিরও কোনো ঠিক নেই।

‘আমি রেজিস্ট্রেশন করেছি এক মাসেরও বেশি হয়েছে। কিন্তু এখনো টিকা পাইনি, আমার কাছে কোনো মেসেজও আসেনি। আমার ব্যাচমেট অনেকে এখনো রেজিস্ট্রেশনও করতে পারে নাই, কারণ তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ড নেই,’ বলেন সাদিয়া আফরোজ।শুধু টিকার জন্য নিবন্ধন করা যথেষ্ট নয়, টিকা দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, টিকার জন্য বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছে ৪ কোটি ১৫ লাখ। আর দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ মানুষকে।অর্থাৎ এখনো পৌনে ৩ কোটি মানুষ টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ টিকা নিতে পেরেছে বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা।

233196574 522513752182849 7080961674244158788 n 3

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামানও বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেকের এনআইডি কার্ড না থাকায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না।টিকা নেয়া এবং টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পূর্ণাঙ্গ চিত্র পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান ভিসি।শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হিসাব মতে, বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন প্রায় ১২ লাখ।বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেবার জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, সবার টিকা দেয়া না হলে শ্রেণীকক্ষে এবং আবাসিক হলে থাকতে অনেকে স্বাচ্ছদ্যবোধ না-ও করতে পারেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানজিনা আমান বলছিলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারলে ভালো হতো।‘আমাদের ডিপার্টমেন্টে একটা ডেটা কালেক্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে,’ বলেন তানজিনা আমান।তিনি বলেন, ‘১০০ পার্সেন্ট ভ্যাক্সিনেশনের ব্যবস্থা করেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া উচিত। কারণ, আমরা আবাসিক হলে থাকবো। দেখা যাবে একজন টিকা নিয়েছে আরেকজন নেয়নি। তাহলেও ইনফেকটেড হবার সম্ভাবনা রয়েছে।’প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা?পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে বর্তমানে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে।

টিকার জন্য নিবন্ধন করা এবং টিকা নেয়া ছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আরো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলছেন, সবগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে।তিনি বলেন, দীর্ঘ শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম সীমিত করেছে। এখন তাদের আবার প্রস্তুতি নিতে হবে।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা দেবার হার গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মতো।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী যে জাতীয় পরিচয় না থাকায় টিকার রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না সেটি তারা অবগত আছেন।তবে জন্ম নিবন্ধন কিংবা অন্যকোনো উপায়ে তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন কি না সেটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।তাছাড়া প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারগুলোতে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category